বইমেলার স্মৃতি ॥ বিতস্তা ঘোষাল


গ্রাফিক্স: লংরিড

বইমেলা চলাকালীন প্রতিবারই নানান অভিজ্ঞতা হয়।যেসব প্রকাশক স্টলে বসেন তাঁদের সকলেরই নিশ্চয়ই হয়।আমার যে অভিজ্ঞতা সবচেয়ে বেশি হয় সেটা হলো অধিকাংশ পাঠক যাঁরা আমাদের স্টলে আসেন তাঁরা বেশিরভাগ জানেন না ভাষা সংসদ-এর প্রকাশক আর বিতস্তা ঘোষাল একজনই।

অনেকেই জানেন না এই বিতস্তা ঘোষালই আবার অনুবাদ পত্রিকার সম্পাদক।

কিন্তু প্রায় সকলেই জানেন বিতস্তা ঘোষাল একজন কথাসাহিত্যিক যাঁর লেখা প্রায় প্রতিটি প্রাতিষ্ঠানিক কাগজে পড়েন তাঁরা।এনারা কেউই আবার সরাসরি কখনোই আমাকে দেখেননি, আবার কেউ দেখলেও এখনকার চেহারার সঙ্গে কাগজে বেরোনো চেহারা বা বইয়ের ব্লার্বের চেহারা মেলাতে পারেন না।

সবচেয়ে মজার যেটা যখন আমাকে আমারই লেখা কোনও বই (অনুবাদ নয়) দেখিয়ে জিজ্ঞেস করেন, উনি কি আসবেন?
আমি জানতে চাই-কেন বলুন তো?
না,মানে ওনার একটা অটোগ্রাফ নেওয়ার ইচ্ছে ছিল।
তখন বলি, বেশ এলে বলে দেব।আপনার ফোন নাম্বার দিয়ে যান।

কেন বলছি এই কথাগুলো? কারণ একটু আগেই ইনবক্সে একটি মেসেজ এলো।সেদিন আপনিই তো স্টলে ছিলেন।আপনার বইটি কিনলাম। বিতস্তার পাঁচ উপন্যাস।অসাধারণ।কিন্তু আপনি তো বললেন না আপনিই বিতস্তা।সই বা ছবি কোনোটাই নেওয়া হলো না।
তাতে কি? স্মাইলি পাঠিয়ে উত্তর দিলাম।
তিনি বললেন-আজ ভাগ্যিস একজন আপনার ফেসবুক লিংক পাঠালো।তাই চিনতে পারলাম।

নাহ! নিজেকে চেনাবার দায় আমার নেই।পাঠক লেখার মাধ্যমে চিনুক আমায় এটাই চেয়েছি বরাবর।

অনুবাদ পত্রিকার সম্পাদক হয়েও একটি সংখ্যা ছাড়া কখনও অনুবাদ করি না, অনুবাদকদের সুযোগ দিই অনুবাদের।সযত্নে নিজের অনুবাদক পরিচিতি সরিয়ে রাখি,যাতে আমার জায়গায় অন্য কেউ অনুবাদ করতে পারেন।

কিন্তু গল্প কবিতা লেখার সময় আমি নিঙড়ে দিই নিজেকে,যাতে লেখক বিতস্তা ঘোষাল ফেসবুকের দুনিয়ার বাইরেও পরিচিতি পায় লেখার জন্য।এই ছোট ছোট মেসেজগুলোই তখন পুরস্কার হয়ে ওঠে।

@ লেখাটি লেখকের ফেসবুক থেকে নেওয়া