যা কিছু ভুলের স্বভাব ॥ নবনিতা রুমু সিদ্দিকা


সুবর্নরাজ-তুমি আমার অভিমানের পানশিভাষা

অভিমান যখন স্থির থাকে না-মেঘভর্তি ধোঁয়া আহত ধ্বনি হয়, হচ্ছে স্বেচ্ছাদিন ভেঙে মনের রথে। আমি পালিয়ে যাই নয়নে, বসন্তের জন্ম স্মৃতিতে; হেঁয়ালিগুলো বালুজড় আর বৃষ্টিমুগ্ধ বৃক্ষশহরে পিছলে যাচ্ছে সড়কে যদি কাঠ দিয়ে বানানো যেতো এই শরীর-আমি কাঠের মোহপাশে শুয়ে অভিমান পুষতাম সর্বময় আলো অভিসারে মূর্চ্ছিত সরগমে আমাদের মালতিতলায় তুষিত তরুমূলে অবাক ধরাজলে
আমার সুবর্নরাজ-তুমি আমার আনাড়ি স্বপ্ন, এই দেহবাঁশির আকুল চোখর্স্পশ তৃষ্ণাশ্রবণ
একদিন তোমারও আকাশে অভিমান ফুটবে তারার মতন-পাতায় জমবে ভয়াল বিষ-আমার ফিরিয়ে দেওয়া অনিশ্চিত সন্ধ্যার রঙ ঠিক আমার দেহকাঠ পুড়িয়ে নিশ্চয়ই তোমার চোখের গোলাপি ভাষা পড়ে নিতে পারবো- নিশাত!

যা কিছু ভুলের স্বভাব
প্রতিদিন রাত্রি জমাই- তোমাকে দেবো বলে,
নিষিদ্ধ ঘুমের ওম ছিটিয়ে দিলাম তোমার মহাজাগতিক দিনে
নিরুত্তাপ শরীর এখন শান্ত প্রতিরোধ কিংবা অমান্য প্রতিশোধ সুন্দর ঘুম আর জাগরণের মুদ্রা। প্রিয় নিশাত-আমার স্বপ্নের স্বৈরাচার ঘোরের অথবা যা কিছু ভুলের স্বভাব মিথ্যের ধ্রুপদি শিল্পিত পতনসমূহ সেই বিভোর মুদ্রার কোলাজে স্বপ্নৎ উড়ে যায় ভয়!
চোখের চুম্বক মুছে আমার দর্শনের যে আঁধার চুরি হয় সম্মোহনের ঘনত্বে তার বাকিটুকু নিলামে দেবো-রাতপালিকার বরাতে। আমি তো বসে থাকি ছন্দের প্রিজম বারান্দায়-
অথচ যা কিছু সহজ সরল গরল তরল সবটুকু পান করে তেজমন্দি জলে মুখ শুকোচ্ছি ভৌতিক উঠোনে, নিকোনো- প্রতিদিন বৃত্তের চাঁদ ভাঙছি এভাবে…

আমার ক্রোধগুলো-আমার বিলাপগুলো
আমার ক্রোধগুলো গলে গলে পড়ে মনিহারি দৃশ্যঘরে নিপুণ আলোমুখর দুঃখভাঁজে এই দক্ষতাসূলভ বিষাদ-বিলাপ-আনন্দ-ধশ্রু-ক্ষমা-প্রসন্নতা মঞ্চজুড়ে সময় প্রেমের রসায়ন আমাদের হারানো ঘণ্টাপ্রহর চা-খানা আর মাঠ প্রান্তর পেরেুনো দূরন্ত মধ্য বর্ণতাপ

এই যে নঁকশি আঁকা সকাল-বিকেল অনুরাগের ধুলোয় আমাদের সন্ধ্যা শব্দযাপত তার কতটুকু স্মৃতিধূসর! মনের সাজানো করুণ বাগানে রাত্রির মরণ বাতাস কাঁপিয়ে দেয় দুখের জানালা-

ভুলে যাওয়া স্বরলিপি রেখে আর মোহিত বিলাপে- কোথায় তুমি রঙ বদলাও সুবর্নরাজে বিকিরণে..আহা-‘বনে যদি ফুটলো কুসুম-নেই কেন সেই পাখি’