লেখার জন্য যে প্রস্তুতি দরকার তা এই মুহূর্তে নেই ॥ ফখরুল হাসান


বিশ্বজুড়ে চলছে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ। নতুন রোগী শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি সমানতালে বেড়ে চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ইতোমধ্যে দশ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় বদলে গেছে বিশ্ব। বদলেছে মানুষের জীবনযাপন। শিল্প-সংস্কৃতিতেও এর প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। এ নিয়ে যােগসূত্রের এ আয়োজন। এবারের সাক্ষাৎকার পর্বে পড়ুন কবি, গল্পকার ও সংগঠক ফখরুল হাসানের লেখালেখি নিয়ে।

যােগসূত্র: লকডাউনে কী পড়ছেন, কী লিখছেন?
ফখরুল হাসান: ঘুম থেকে উঠে অফিসে যেতে হয়। ফিরতে ফিরতে রাত দশটা হয়ে যায়। কোনো দিন খাবার খাওয়া হয় কোনোদিন হয় না। ফ্রেশ হয়ে বসে যাই কম্পিউটার টেবিলে। আপনার হয়তো জানা আছে আমার একটি পত্রিকা আছে। সেটি নিয়ে কাজ করতে হয়। পড়া বলতে পত্রিকার মেইলগুলো চেক করে ভালো লেখাগুলো আপলোড করা এবং বেশ কয়েকটি উপন্যাস পড়ে পর্বগুলো আপলোড করা। সময়ের অভাবে বই আপাতত পড়তে পারছি না। আর লেখার জন্য যে গভীর চিন্তা বা প্রস্তুতি দরকার তা এই মুহূর্তে আমার নেই। তবুও মাঝে মধ্যে কবিতা মাথায় ভর করে। চেষ্টা করি তা লিখতে। আমি জানি না সেগুলো কবিতা কি না। যদিও দেশের শীর্ষ পত্রিকাগুলোতে তা প্রকাশ হচ্ছে।

যােগসূত্র: কীভাবে কাটাচ্ছেন লকডাউনের দিনগুলো?
ফখরুল হাসান: ঐ যে বললাম না সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিসে রাতে বাসায় ফিরে পত্রিকা নিয়ে বসতে হয়। বলতে পারেন কাজের মধ্যে ডুবে আছি। হাজার খানেক বই সংগ্রহে আছে কিন্তু পাঠ করার মতো সময় পাচ্ছি না।

যােগসূত্র: কোভিড-১৯ শিল্প-সংস্কৃতিতে কী প্রভাব ফলেছে?
ফখরুল হাসান: পুরো পৃথিবী যেখানে থমকে আছে সেখানে শিল্প-সংস্কৃতি তো ক্ষতির সম্মুখীন হবেই। বইমেলার কথাই ধরুন না। লেখক ও প্রকাশকের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে আমাদের কত বছর লাগবে তা আমরা কেউ নির্দিষ্ট করে বলে পারবো বলে মনে হয় না।

যােগসূত্র: কীভাবে করোনা থেকে উত্তরণ সম্ভব?
ফখরুল হাসান: কোভিড-১৯ থেকে মনে হয় না আমরা সহজে মুক্তি পাবো। হয়তো আরও কয়েক বছর কোভিড নিয়েই আমাদের পথ চলতে হবে। কিন্তু আমরা সচেতন হলে তা প্রতিহত করা সম্ভব। বিশেষ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রতিটি মানুষের জন্য জরুরি। নিজের জন্য, পরিবারের জন্য সর্বোপরি দেশকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে। মোটকথা প্রতিটি নাগরিককে সচেতন হতে হবে। সরকারের একার পক্ষে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব না বলে আমি মনে করি।