দুঃসময়ে পরিকল্পনা করে লেখার ইচ্ছে নেই ॥ সাদিয়া সুলতানা


বিশ্বজুড়ে চলছে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ। নতুন রোগী শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি সমানতালে বেড়ে চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ইতোমধ্যে দশ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় বদলে গেছে বিশ্ব। বদলেছে মানুষের জীবনযাপন। শিল্প-সংস্কৃতিতেও এর প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। এ নিয়ে যােগসূত্রের এ আয়োজন। এবারের সাক্ষাৎকার পর্বে পড়ুন কথাসাহিত্যিক সাদিয়া সুলতানার লেখালেখি নিয়ে।

যােগসূত্র: লকডাউনে কী পড়ছেন, কী লিখছেন?
সাদিয়া সুলতানা: বইমেলার আগে-পরে প্রচুর বই কিনেছি কিন্তু নিরবচ্ছিন্নভাবে কোনো বই-ই পড়তে পারছি না। সারাক্ষণ একটা অস্থিরতা কাজ করছে ভেতরে। তবু এর ভেতরে পড়া হলো আফসার আমেদের উপন্যাস ‌‌অশ্রুমঙ্গল।’ বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকাতে প্রকাশিত কিছু ছোটগল্পও পড়েছি। এখন পড়ছি ওবায়েদ হকের উপন্যাস ‘কাঙালসংঘ।’

লেখালেখি নিয়ে আপাতত ভাবতে পারছি না। স্বতঃস্ফূর্তভাবে লিখতে না পারলে লিখবো না। আসলে এই দুঃসময়ে পরিকল্পনা করে কোনো কিছু লেখার ইচ্ছে নেই।

যােগসূত্র: কীভাবে কাটাচ্ছেন লকডাউনের দিনগুলো?
সাদিয়া সুলতানা: পারিবারিক ব্যস্ততার বাইরে যেটুকু সময় পাচ্ছি বারান্দায় বাগানের গাছের পরিচর্যা করছি আর হুপআর্ট করছি। বিষণ্নতা আর একঘেঁয়েমি কাটাতে সূচিকর্মের বিকল্প নেই। এছাড়া প্রতিদিন কিছু না কিছু পড়ছি।

যােগসূত্র: কোভিড-১৯ শিল্প-সংস্কৃতিতে কী প্রভাব ফেলছে?
সাদিয়া সুলতানা: জীবন যেখানে অনিশ্চিত সেখানে অন্যান্য সব বিষয় অপাংক্তেয় মনে হয়। তবু মানুষ যতদিন শ্বাস নিবে ততদিনই হয়তো নিজের মনের খোরাক খুঁজবে। আর তাই শিল্প-সংস্কৃতিও আমাদের সঙ্গী হয়ে থাকবে। কোভিড-১৯ আমাদের শিল্প-সংস্কৃতিতে মূলত নেতিবাচক প্রভাবই রাখছে। এর অন্যতম উদাহরণ হলো এবারের বইমেলা। তবে আশার কথা হলো এই দুঃসময়েও মানুষের শুভবোধের চর্চা চলছে, চলবেই।

যােগসূত্র: কীভাবে করোনা থেকে উত্তরণ সম্ভব?
সাদিয়া সুলতানা: স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা, জানাচ্ছেন এতে সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব হবে। কিন্তু করোনা থেকে উত্তরণের জন্য আসলে কী করতে হবে তা নিশ্চিতভাবে কেউ বলতে পারেননি এখনো। তবু আমাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে প্রাণরক্ষার তাগিদেই। আমার মনে হয় আমরা কেবল অপেক্ষা করতে পারি, একটা সুসময়ের জন্য।