বিশ্বজুড়ে চলছে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ। নতুন রোগী শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি সমানতালে বেড়ে চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ইতোমধ্যে দশ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় বদলে গেছে বিশ্ব। বদলেছে মানুষের জীবনযাপন। শিল্প-সংস্কৃতিতেও এর প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। এ নিয়ে যােগসূত্রের এ আয়োজন। এবারের সাক্ষাৎকার পর্বে পড়ুন কবি ও দৃষ্টি (ছোট কাগজ) সম্পাদক বীরেন মুখার্জীর লেখালেখি নিয়ে।
যােগসূত্র: লকডাউনে কী পড়ছেন, কী লিখছেন?
বীরেন মুখার্জী: আমি আসলে একসঙ্গে দুই-তিনটি গ্রন্থ পাঠ করি। ‘উপনিষদ’ পাঠ করতে করতে দীপ্তি ত্রিপাঠীর ‘বাংলাদেশের আধুনিক কাব্যপরিচয়’ তৃতীয় বারের মতো পাঠ করলাম। এরই মধ্যে কবির হুমায়ুনের কয়েকটি কবিতা এবং কানিজ পারিজাতের ‘শেষ চুমুকের আগে’ কবিতাগ্রন্থ থেকে কবিতা পাঠ করছি। লিখছি বলতে, আমার মূল হলো কবিতা। এ কয়েকদিনে তিনটি কবিতা লিখেছি আর লোকসংস্কৃতির ধারাবাহিকতা ও বিবর্তন নিয়ে প্রবন্ধ লিখছি। দুটি ডকুমেন্টারির জন্য গবেষণা অংশটির আউটলাইন করেছি।
যােগসূত্র: কীভাবে কাটাচ্ছেন লকডাউনের দিনগুলো?
বীরেন মুখার্জী : পাঠ এবং লেখার মধ্যেই আছি বলা যায়। এছাড়া শারীরিক কিছু ব্যায়াম নিয়মিত করছি। যতটুকু পারছি সুষম খাদ্য গ্রহণ করছি। আত্মীয়-পরিজনের খোঁজ-খবর রাখছি। এই তো, এভাবেই কাটছে…।
যােগসূত্র: কোভিড-১৯ শিল্প-সংস্কৃতিতে কী প্রভাব ফেলেছে?
বীরেন মুখার্জী : কোভিড ১৯-এর নেতিবাচক প্রভাব তো সবখানেই। সব মানুষের মনে সংশয়-ভীতি কাজ করছে। সৃজনশীল মানুষের মনে তো বটেই। ফলে শিল্প-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে নানান ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। যেমন একুশে বইমেলার বিষয়টিই বিবেচনা করুন। কোভিডের কারণে সবকিছুই তো থমকে আছে। নতুন করে আর কি বলব।
যােগসূত্র: কীভাবে করোনা থেকে উত্তরণ সম্ভব?
বীরেন মুখার্জী: মহামারি তো আর চিরদিন থাকবে না। অতীতের মহামারির ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলেই এটি বলা যায়। বিজ্ঞানীরা তো চেষ্টা করে যাচ্ছেন নতুন নতুন টিকা আবিষ্কারের মাধ্যমে করোনা মোকাবিলার। এজন্য আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। মনোবল অক্ষুন্ন রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও বিকল্প নেই।