দ্বিতীয় উপন্যাসেই বাজিমাত, বুকার পেলেন ডেভিড


অ্যাট নাইট, অল ব্লাড ইস ব্ল্যাক-এর প্রচ্ছদ, ডেভিড ডিওপ ও আনা মশোভাকিচ

ফরাসি লেখক ডেভিড ডিওপ ২০২১ সালের ইন্টারনাশনাল বুকার প্রাইজ পেয়েছেন। তিনিই প্রথম ফরাসি লেখক যিনি এই পুরস্কার পেলেন। ২ জুন (২০২১) এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।

ডেভিড ডিওপ বুকার পেয়েছেন তার ‘অ্যাট নাইট, অল ব্লাড ইস ব্ল্যাক’-উপন্যাসের জন্য। এটি তার লেখা দ্বিতীয় উপন্যাস। গ্রন্থটি ফরাসি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন আনা মশোভাকিচ। বইটি প্রকাশ করেছে পুশকিন প্রেস।

এই বছর বুকার পুরস্কারের জন্য মোট ৫টি বই চূড়ান্ত তালিকায় ছিল। শেষ পর্যন্ত বিচারকেরা ডেভিডের উপন্যাসকেই বেছে নিয়েছেন।

‘অ্যাট নাইট, অল ব্লাড ইস ব্ল্যাক’ বইতে ফরাসি-সেনেগালিস লেখক এবং সাহিত্যের অধ্যাপক ডেভিড একজন তরুণের কথা বলেছেন, যিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ফ্রান্সের হয়ে লড়েছিলেন।

নিউইয়র্ক টাইমস বইটির সমালোচনায় লিখেছিল, অসাধারণ উপন্যাস। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একশ বছর পার করে একজন আফ্রিকান লেখক মানব ইতিহাসের রক্তের দাগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

 

 

ডেভিড ডিওপ ও  অনুবাদক আনা মশোভাকিচ

 

দ্য স্টার ট্রিবিউন লিখেছে, উপন্যাসটি আয়তনে বড় নয়। কিন্তু যুদ্ধ, সমানে মৃত্যু, মানুষের আত্মিক ক্ষতির কথা যেভাবে লেখা হয়েছে, তা পড়তে গিয়ে অভিভূত হতে হয়।

ডেভিড ডিওপ সম্প্রতি বলেছেন, তার প্রপিতামহ যুদ্ধের অভিজ্ঞতা নিয়ে তার স্ত্রী বা মা-কে কিছু বলতেন না। তাই তিনি বিষয়টি জানতে আরো উৎসুক হয়ে পড়েন এবং তা জানেন।

বিচারকদের তরফে বলা হয়েছে, এই গল্পটা হলো প্রবল শক্তিধর দেশগুলির যুদ্ধ, ভালোবাসা ও পাগলামির কাহিনি। বিচারকেরা একমত যে, এই উপন্যাস মনের মধ্যে এক নতুন অনুভূতির জন্ম দেয়।

৫০ হাজার পাউন্ডের এই পুরস্কার ডেভিড ও তার বইয়ের অনুবাদক মার্কিন লেখক ও কবি আনা মশোভাকিচের মধ্যে ভাগ হবে।

ডেভিড ডিওপ ১৯৬৬ সালে প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন। সেনেগালে বেড়ে ওঠেন। তিনি এখন ফ্রান্সে বসবাস করেন। পেশায় ইউনিভার্সিটি অফ পাউ-এর ‘এইটিনথ সেঞ্চুরি লিটারেচার’ বিভাগের অধ্যাপক।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের ম্যান গ্রুপ ফাউন্ডেশন প্রতি বছর দুইটি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করে-‘বুকার প্রাইজ’ এবং ‘ইন্টারন্যাশনাল বুকার প্রাইজ’। ২০০৫ সাল থেকে ইংরেজিতে অনূদিত যেকোনো ভাষার বইকে ‘ইন্টারন্যাশনাল বুকার প্রাইজ’ দেওয়া হয়। প্রথমে পুরস্কারটির নাম ছিলো ‘ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ’। এর অর্থমূল্য পঞ্চাশ হাজার পাউন্ড।

তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে, বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান